‘বিশ্ব ভেগান দিবস’ যাত্রা শুরু করেছিলো সারা বিশ্বের নিরামিষাশীদের জীবনযাত্রা উদ্যাপন ও অন্যান্য সমমনা ব্যক্তিদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার উপায় হিসাবে।
অনেক মানুষের জন্য, বিশ্ব ভেগান দিবস হলো ভেগান জীবনযাপনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকে স্মরণ করার এবং উদযাপণ করার একটি দিন। বিশ্বজুড়ে এমন অনেক জীবনপ্রণালীর নির্দেশনা রয়েছে যা এই জীবনধারার সাথে আপনি কীভাবে নিজের যাত্রা শুরু করতে পারেন সে সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপণ করে; বিভিন্ন সেমিনার পরিচালিত হয় যেখানে বিশেষজ্ঞরা উপস্থিতদের থেকে মানুষের যেকোন উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন- যেমন প্রোটিন গ্রহণ বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক ভিন্ন মতের সমর্থকদের মধ্যে পাবলিক বিতর্ক। কিন্তু সবাই এখানে অমানবিকতা মুক্তির লক্ষ্যে এক ব্যানারে একত্রিত হন।
ভেগান সম্প্রদায়ের গুণীজনদের দ্বারা প্রদত্ত বক্তৃতা গুলোর মাধ্যমে আরও অনেক কিছু শেখার পাশাপাশি এই জীবনধারা গ্রহণের প্রতি যে কোন ব্যক্তির জন্য বিশ্ব ভেগান দিবস একটি দুর্দান্ত সুযোগ হতে পারে। নিরামিষভোজীদের জীবনব্যবস্থা এর উপকারীতা, অন্যদেরকে আগ্রহী করে তোলা, এই নিয়মের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করার জন্য সুযোগ হিসেবে এই দিনটিকে নেওয়া হয়।
ইভেন্টটি প্রতি নভেম্বরের ১ তারিখে পরিচালিত হয়, যা পশু অধিকারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কর্ম দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে!
১৯৯৪ সালে ‘দ্য ভেগান সোসাইটি’র ৫০ তম জন্মদিনে যুক্তরাজ্যের একজন সেলিব্রেটি ‘লুইস ওয়ালিস’ দ্বারা এই ইভেন্টের প্রবর্তণ হয়েছিল, যিনি সেই সময়ে ‘দ্য ভেগান সোসাইটি’র চেয়ারম্যান ছিলেন। ভেগান এবং ভেগানিজম শব্দদুটির জনপ্রিয়তা তখন থেকেই বাড়তে শুরু করে।