‘নিরাপদ খাদ্য, উন্নত স্বাস্থ্য’ এ বছরের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের প্রতিপাদ্য। প্রতি বছরের ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস (WFSD) হিসেবে পালিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) সহযোগিতায় ৭ই জুন ২০১৯ সাল থেকে প্রথম খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
WFSD-এর লক্ষ্য খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং পরিচালনার জন্য অনুপ্রাণিত করা এবং পদক্ষেপ নেওয়া। এটি খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষি, বাজার অ্যাক্সেস, পর্যটন এবং টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করে।
আপনি যদি জানেন যে খাদ্য নিরাপত্তা কি এবং এটি বজায় রাখার জন্য কি করণীয়, তবে আপনি রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে অবগত থাকবেন এবং প্রত্যেকের ভাল জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবেন। এবং এটি আপনার বাসা থেকেই শুরু হতে পারে। খাদ্যের নিরাপত্তা হল খাদ্য বাহিত অসুস্থতা কমানো বা অসুস্থ হওয়ার থেকে মুক্তি পেতে সর্বোত্তম উপায়ে খাবার পরিচালনা, প্রস্তুত করা এবং রাখা।
একটি রান্নাঘরে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য পাঁচটি মৌলিক নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। প্রথম এবং প্রধান নিয়ম হল “হাত ধোয়া”। রান্নার শুরুতে হাত ধোয়া খুবই সাধারন ব্যাপার, কিন্তু আমরা অনেকেই রান্নার সময় হাত ধুতে ভুলে যাই। কোনো খাবার ধরার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার হাত ধুয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল “কাজের জায়গাকে জীবাণুমুক্ত করা”। শাকসবজি, মাংস, মাছ এবং অন্যান্য অনেক জিনিস কাটার জন্য একটি পরিষ্কার জায়গা থাকা উচিত। অন্যথায় সহজেই খাদ্যবাহিত রোগ হতে পারে।
তৃতীয় জিনিস হল কাঁচা মাংস, শাকসবজি এবং রান্না করা খাবারের জন্য আলাদা কাটিং বোর্ড ব্যবহার করা। এই নিয়ম মেনে চললে খাবার নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।
এরপরের উদ্বেগের বিষয় তাপমাত্রা। চতুর্থ জিনিসটি হল “নিরাপদ তাপমাত্রায় খাবার রান্না করুন”। সব খাবার একই তাপমাত্রায় রান্না করা যায় না। যেমন মাংস এবং শাকসবজি একই তাপমাত্রায় রান্না করা যায় না। তাই খাবার যাতে বেশিক্ষণ রান্না করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঠিকভাবে রান্না হয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় খাবারটি রান্না করতে হবে। আপনি যদি খাবার রান্নার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ঠিক না রাখেন তবে এটির ভিতরে নানান রোগ জীবাণু সংক্রামিত হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস এর আক্রমণ ঘটতে পারে। তাই খাদ্য অনুযায়ী নিরাপদ তাপমাত্রায় রান্না করা জরুরি।
খা্দ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখা পরিবারের সবার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব সরকার, উৎপাদক এবং ভোক্তাদের সাথেও ভাগ করে নেওয়া উচিত। তাই আমাদের সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা দিবস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।