পপসিকলস বা গোলা আইসক্রিমগুলো মূলত স্বাদযুক্ত হিমায়িত জলের মতো, তবে এদের রয়েছে বিভিন্ন রকম স্বাদ ও রূপ। বাচ্চাকাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়েসী মানুষকে প্রলুব্ধ করতে এটি তৈরি হয় বিভিন্ন রঙ এবং স্বাদ দিয়ে। বেশিরভাগ আইসক্রিম ব্যবসায়ীরা তাদের এই ব্যবসার প্রচারণা চালায় শিশু ও তরুণদের কথা মাথায় রেখে।
গ্রীষ্মে এই আইসক্রিমের চাহিদা যেন সর্বদা শীর্ষস্থানে থাকে। গরম আবহাওয়ায় এই আইসক্রিমগুলো মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-আয়ের মানুষের মধ্যে একটি অস্থায়ী আনন্দ এনে দেয়। আইসক্রিম স্বভাবতই ঠান্ডা হওয়ায় গরমে এর চাহিদার কথা নতুন করে আর বলার থাকে না, তার উপরে যদি খুব কম দামে দেখা মেলে এসব লোভনীয় গোলার তাহলে তো বাচ্চাকাচ্চার কথা বাদই দিলাম, বড়দেরকেও সামলানো ভার। ফলস্বরূপ, মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন শ্রেণির লোকেরা এই আইসক্রিমগুলোকে তাদের বাচ্চাদের জন্য এমনকি তাদের নিজেদের জন্যও প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেয়। দাম ও সহজলভ্যতার কারণে পপসিকল আইসক্রিমগুলোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এসব আইসক্রিম প্রস্তুতকারীরা বিভিন্ন ধরণের ফল, চকোলেট এবং দুধের সংমিশ্রণে দারুণ স্বাদ তৈরি করে যাতে তারা গ্রাহকদের তাদের আইসক্রিমের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে।
কখনো কখনো এই স্বাদ খাঁটি পণ্য থেকে তৈরি করা হয় না, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাসায়নিক দ্রব্যের সমন্বয়ে এসব তৈরি করে থাকে সামান্য লাভের আশায়। যাদের কারণে হুমকির মুখে পড়ে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য, আর এই ভয়াবহতা থেকে বিরত থাকতে অভিভাবকেরা প্রায়ই এড়িয়ে চলে রাস্তার মোড়ের ছোট্ট টুংরি দোকান বা ভ্যানগাড়িতে বহন করা এসব গোলাকে। যার ফলে ব্যবসায়ীরাও যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিছু ছেলেবেলা কাটছে এসব রঙ বেরঙের আনন্দবিহীন। কিন্তু, ভরসার বিষয় এই যে, জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব পপসিকল আবার নতুনরূপে সেজে স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে উপস্থিত হচ্ছে নিজেদের বাহারি স্বাদ নিয়ে আমাদের সামনে। খাদ্যবিধি মেনে বিক্রেতারা পৌঁছে দিচ্ছে সেই লাল-নীল মজার জাদু বাচ্চাদের হাতে। গরমের দাবদাহে একটা পপসিকল হাতে নিয়ে আপনিও হারিয়ে যান ফেলে আসা সেই আইসক্রিমে জিভ রঙ করে বন্ধুদের দেখানোর মত মধুর স্মৃতিতে।