মানুষ এবং কুকুরের মধ্যে রসায়ন দীর্ঘকাল ধরে চারপাশের গভীরতম বন্ধনগুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্বীকৃত। কুকুর প্রেমীরা তাদের পোষা প্রাণীর খাবার এবং এর পুষ্টি সম্পর্কে আগের চেয়ে বেশি সতর্ক। যদিও কুকুরের কোন খাদ্যাভাসটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী তা নিয়ে মতভেদ দেখা যায়। কিছু লোক ঐতিহাসিক রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে দাবি করে যে কুকুরদের তাদের মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া অবশিষ্টাংশ এবং এঁটোর প্রতি বিশেষ আসক্তি রয়েছে, যদিও পশুচিকিত্সকরা বলছেন ভিন্ন।
সম্প্রতি পশুচিকিতৎসকরা পোষা প্রাণীর মালিকদের তাদের পোষা প্রাণীদের বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কারণ এটি তাদের পোষা প্রাণীদের জন্য বাণিজ্যিক পোষা খাবারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। বাণিজ্যিক কুকুরের খাবারে নিম্নমানের মাংস, ভেজাল এবং অন্যান্য উপাদান থাকে যা কুকুরের খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও বাণিজ্যিক কুকুরের খাবার তাদের কুকুরের জন্য পুষ্টিগতভাবে পর্যাপ্ত নয়।
পোষা কুকুরের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় খাদ্য হল কাঁচা খাওয়ানো যা প্রাথমিকভাবে রান্না না করা মাংস, ভোজ্য হাড় এবং অঙ্গগুলি নিয়ে গঠিত। এটি পশুচিকিত্সকদের মধ্যে খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়।
সাধারণত কুকুরের বিভিন্ন ধরণের পুষ্টির প্রয়োজন হয় যার মধ্যে বিভিন্ন জিনিস থাকে। এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে কুকুর প্রেমীদের তাদের কুকুর গুলোকে সুষম খাদ্য খাওয়ান উচিত এবং সেখান থেকেই বাড়িতে রান্না করা কুকুরের খাবারের ধারণাটি আসে। এখন বাড়িতে কুকুরের খাবার তৈরির ফলে এটা যেমন লক্ষ্য রাখা যায় যে কুকুরের খাবারের বাটিতে কোন খাবার গুলো যাচ্ছে, ঠিক একই ভাবে এটিও লক্ষ্য রাখা যাচ্ছে যেন কোন টিনজাত খাবার বা দূষিত খাবারও কুকুরের পেটে না যায়। কিন্তু এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে কুকুর তার শরীরের আনুপাতিক আকারে বিভিন্ন পুষ্টির পাচ্ছে কিনা, যেমন: উচ্চ মানের প্রোটিন (মাংস, সামুদ্রিক খাবার, দুগ্ধ বা ডিম), চর্বি (মাংস বা তেল), কার্বোহাইড্রেট (শস্য বা সবজি), ক্যালসিয়াম (দুগ্ধ), অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড (ডিমের কুসুম বা ওটমিল) ইত্যাদি।
পশুচিকিত্সকরা কুকুরের জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবারের পরামর্শ দেওয়ার পিছনে আরেকটি প্রধান কারণ হল অনেক কুকুরের হজমের সমস্যা হওয়া। অনেক কুকুরের মালিক এখন তাদের কুকুরছানার জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ানোর পর থেকে খুব খুশি। এখন তারা তাদের কুকুরে পেটের সমস্যার কম সম্মুখীন হয়।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক পশুচিকিতৎসকদের কাছে এমন তথ্য পাওয়া যায় যে, মালিকেরা তাদের কুকুরের জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবার চালিয়ে যাওয়ার পরে, তারা তাদের কুকুরের মুখ থেকে কম দুর্গন্ধ খুঁজে পায়। মোটকথা কুকুরের জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবারের অনেক সুবিধা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুকুরের সামগ্রিক ভাল স্বাস্থ্য এবং ঘনঘন পশুচিকিৎসকদের কাছে না যাওয়া।