তরমুজ পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুবই কম। সবাই, অন্তত একবার তাদের শৈশবে পিরামিড বা নৌকার মতো করে কাটা তরমুজ খেয়েছে। তাই তরমুজের সাথে আমাদের শৈশবের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। এতে ৯২ ভাগ জল রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাজা তরমুজ খাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে গ্রীষ্মের জন্য অপেক্ষা করে। এটি গ্রীষ্মের ক্লান্তিকর দিনের পরে শরীরে একটি সতেজ পরিবর্তন আনে। এটি সুস্বাদু এবং একই সময়ে এটি খুব স্বাস্থ্যকর। তরমুজ একটি বড় ডিম্বাকার আকৃতির ফল যার ত্বক সবুজ। এর ভিতরের অংশ লাল রঙের এবং তাতে ছোট কালো বীজ থাকে।
তরমুজকে একটি সবজি হিসাবেও বিবেচনা করা যেতে পারে কারণ এটি সবজির মত করে চাষ করা হয়। তবে মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় আমরা একে একটি সতেজ ফল হিসেবে পছন্দ করি। এই বড় ফলটি লাইকোপিনের উৎস, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন প্রোস্টেট, ফুসফুস এবং পাকস্থলী ইত্যাদির ঝুঁকি কমায়।
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের তরমুজ রয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ১২০০ জাতের তরমুজ পাওয়া গিয়েছে। এটি ৪ প্রকারে বিভক্ত; বীজযুক্ত, বীজহীন, আইসবক্স এবং হলুদ বা কমলা। আইসবক্স হল সবচেয়ে ছোট আকারের তরমুজ। এজন্য একে আমরা ব্যক্তিগত তরমুজ বলতে পারি। যা একাই একজন খেয়ে ফেলতে পারে। তরমুজের সবচেয়ে পছন্দের জাত হল লাল রঙের মিষ্টিজাত টি। এটি একটি বীজযুক্ত তরমুজ এবং মিষ্টি অংশটি গভীর লাল রঙের।
এর ভিতর দুটি প্রধান ভিটামিন এ এবং সি, আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ভিটামিন সি আমাদের চুলের জন্য ভাল, এবং ভিটামিন সাধারণ আমাদের ত্বকের জন্য সহায়ক। ভিটামিন এ-এর অভাব ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই তরমুজ খাওয়া একজন মানুষের জন্য দরকারিও। এর কম ক্যালোরি শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এতে সিট্রুলাইন রয়েছে এবং এটি কোষে চর্বি জমে থাকা কমায়। ক্রীড়াবিদরা তাদের প্রশিক্ষণ বা ব্যয়ামের পরে তরমুজ এবং তরমুজের রস খান। তরমুজের সিট্রুলাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড পেশীর ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তরমুজ সবাই পছন্দ করে। সবুজ এবং লাল এ ফলটি বেশ সুস্বাদু এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।