ডালিম হল একটি মিষ্টি ফল যেটা দেখতে লাল। ডালিমের উপরের ত্বক মোটা হয় যার জন্য উপরের অংশ ভোজ্য নয়। কিন্তু ডালিমের উপেরের অংশ খোলার পর ভিতরে থাকে শত শত রসালো বীজ যেটার স্বাদ মিষ্টি। সাধারণত ডালিম সাধারণভাবে খাওয়া হয়ে থাকে অথবা জুস বানিয়েও খাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু রন্দন শিল্পে দেখা যায় যে ডালিম খাবার পরিবেশিনের কাজেও ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বিভিন্ন সালাদ, ওটমিল এবং অন্যান্য খাবারে ধামাইল ছিটিয়ে দিয়ে কাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
ডালিম ভারত, এশিয়া, ভূমধ্যসাগর এবং আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় অংশের মতো জায়গায় সাধারনত জন্মায়। ১৮ শতকের শেষের দিকে এবং ১৯ শতকের শুরুর দিকে, স্প্যানিশ বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা ফলটি উত্তর আমেরিকায় আনা হয়েছিল এবং এখন, এটি ক্যালিফোর্নিয়া এবং অ্যারিজোনায় জন্মেছে। ডালিমের মৌসুম হলো সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কিন্তু যাদের শেলফ লাইফ দীর্ঘ।
ডালিম খাওয়া সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হল ডালিমের বীজ খাওয়া নিরাপদ কিনা এবং উত্তরটি হচ্ছে হ্যা। ডমিলের আরিল (যেটা ডালিমের বীজ এবং তাদের চারপাশে থাকা রসালো অংশটি) একমাত্র অংশ যা বেশিরভাগ লোকেরা খায়।। এক কাপ ডালিমের রসে প্রায় ১৩৫ ক্যালোরি থাকে।
ডালিমের গুনাগুন সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কিছু বলা যায়। যেমন ডালিমে সবুজ চায়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ এবং বার্ধক্যজনিত প্রভাব কমায়। মানুষ স্বাস্থ্য উপকারিতা লাভের জন্য প্রাচীনকাল থেকে ডালিম ভোগ করছে। আধুনিক বিজ্ঞান এর সাহায্যে খুঁজে পাওয়া হয়েছে যে ডালিম হার্টকে রক্ষা করতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। উপরন্তু ডালিম ফাইবার এবং ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। এছাড়াও ডালিম রক্তচাপ কমিয়ে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে হার্টকে রক্ষা করে। এছাড়া এই ফলটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক সাহায্য করে।
উপসংহারে এটা বলা যায় যে ডালিম তার প্রাণবন্ত রঙ এবং বিচিত্র কাঠামোর জন্য পরিচিত। এই তকতকে লাল ফলটি তার মিষ্টি স্বাদ এবং এর পুষ্টির মানের জন্যও বিখ্যাত লাভ করেছে। এছাড়া ডালিম ফলটি পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ডামিলের এই গুনাগুনের জন্য এই ফলটি একজনের শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। যদিও ডামিলের গুনাগুনের শেষ নেই কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে সব কিসু সবার জন্য নয়। কিছু লোকের ডামিলে অ্যালার্জি থাকে পারে এবং তাদের ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা লাগবে। এছাড়া এটা বলে হয়ে থাকে যে ডালিমের রস ওষুধের সাথে নেতিবাচক প্রক্রিয়া করে থাকে। সেহেতু ডালিমের জুস খাওয়ার আগে অথবা পরে ওষুধ না নেয়াই ভালো।