সাধারণ জায়গায় বানানো মোগলাই পরোটায় কি স্বাস্থ্যঝুকি আছে?’
বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে মানুষ বাইরে খাওয়া-দাওয়া করেন। যদি আমরা ধরে নিই যে বাংলাদেশের প্রতিটি রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন ১০০ জন লোক ভিজিট করেন, তাহলে বলতে হয় আমাদের রেস্তোরাঁগুলো একদিনে আয়ারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষকে খাবার সরবরাহ করছে! জাতীয়ভাবে ৫০০০০টিরও বেশি নিবন্ধিত রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন জনশক্তি কাজ করে যাচ্ছে।
যাইহোক, উপরের চিত্রে শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণির রেস্তোরাঁ রয়েছে; তাই বলে আমাদের প্রান্তিক বিক্রেতাদের সম্পর্কে ভুলে গেলে চলবে না যারা অনেকেই শাকসবজি এবং ফলের মত উচ্চ পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হতে অনুমোদিত ফল ও শাকসবজির পরিমাণের অর্ধেকেরও কম গড়ে বাঙালি খেয়ে থাকে। যেখানে বলা হয়ে থাকে যে খাদ্য-সম্পর্কিত রোগ এবং অপুষ্টি প্রতিরোধে ন্যূনতম দৈনিক ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়া অত্যাবশ্যক।
দেশের ঐতিহ্যবাহী চাল-ভিত্তিক খাবার এবং সবজির উচ্চমূল্যের কারণেই এমনটা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোন খাবারে সবজি পাওয়া যায়? আমার মনে হয়, সবজি সিঙ্গাড়া এবং সামোসা, কিছু ভর্তা, পিঠা, সবজি পাকোড়ার মত খাবার আসবে এই তালিকায়। সেখানে বলতে হয় এই সীমিত পরিসর যথেষ্ট নয়।
আমাদের সমাজে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সকল রেস্তোরাঁর ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে শতাধিক সবজি এবং ফল রয়েছে। এসব উপাদানকে কাজে লাগিয়ে বিস্তৃত পরিসরে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা পুনরায় তাদের মেনুগুলো ঢেলে সাজাতে পারেন। এরকম অনেক সুযোগ আমাদের বানিজ্য ব্যবস্থায় রয়েছে।
সবজিযুক্ত খাবার বৃদ্ধি শুধুমাত্র একটি রেস্তোরাঁর সুনাম বাড়ানো ও সার্বিক জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অবদানই রাখবে না বরং এটি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে কৃষক সম্প্রদায়কে সাহায্য করবে।
আপনি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তথ্য দিয়ে থাকেন বা পেয়ে থাকেন এবং রেস্তোরাঁ পরিচালক হিসেবে আপনার রেস্তোরাঁ বড় বা ছোট যাই হোক না কেন, আপনার সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রচার করা আপনার কর্তব্য।
অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করুন এবং সফলতা নিশ্চিত করুন।