ডিরেক্টরি, কথাটি শুনলেই মাথায় ভেসে ওঠে ইয়া মোটা ডিকশনারীর থেকেও বড় একটি বই। যেখানে থরে থরে সাজানো থাকে নানা রকম তথ্য ও উপাত্ত। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে এই তথ্য ও উপাত্তই পৃথিবীর মূল চালিকাশক্তি। এরকমই একটি তথ্য নির্ভর কোম্পানি হচ্ছে ডাইনবিডি। শুরুটা দেশের সব থেকে বড় ডিজিটাল রেস্টুরেন্ট ডিরেক্টরি হলেও আজ ডাইনবিডি ছড়িয়ে পড়েছে নানা শাখা-উপশাখায়। বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হওয়া অনন্যসাধারণ এই কোম্পানিটির একটি শাখা হচ্ছে ‘দ্য ডাইনিভার্স’। বাংলাদেশে শুধুমাত্র খাবার নিয়ে এতবড় আয়োজন খুব একটা হতে দেখা যায়নি বা বলা যায় হয়ই নি। ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের সাথে আধুনিকতা ও মননশীলতা মিশিয়ে সম্পূর্ণ অদ্বিতীয় একটি কন্সেপ্টে প্রতিমাসে প্রকাশিত হচ্ছে ম্যাগাজিনটি।
‘দ্য ডাইনিভার্স’ মূলত একটি ফুড ম্যাগাজিন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি এই ফুড ম্যাগাজিনটি প্রতিমাসে অনলাইনে প্রকাশিত হয় বিশ^ব্যাপি। এটি বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাতেই প্রকাশিত হয়। এই ম্যাগাজিনটি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষণ করে এর মাদার কোম্পানি ডাইনবিডি এবং এর প্রকাশক জনাব এ. এম. ইয়েমন।
‘দ্য ডাইনিভার্স’ প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২১ এর আগস্ট মাসে। মাসিক এই পত্রিকাটি একটি বিস্তৃত জনগোষ্ঠির কথা মাথায় রেখে ডিজিটালি প্রকাশ করা হয়। কিন্ত এর মূদ্রিত ভার্সন খুব শিঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের খাদ্যখাতে এরকম উদ্যোগ বিরল।
যেহেতু এটা ফুড ম্যাগাজিন, তাই প্রতি সংখ্যার বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাঠকেরা পেয়ে থাকেন নানা রকম খাবার বিষয়ক আটিৃকেল যেমন: ঐতিহ্যবাহী খাবারের সেকশনে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করি আবহমানকাল থেকে প্রসিদ্ধ হতে থাকা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার। বিভিন্ন অ লের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে খ্যাতি লাভ করা যে খাবারগুলো মানুষের মুখে মুখে এখনও অসাধারণ স্বাদের যোগান দিয়ে যাচ্ছে সেগুলোর আদ্যোপান্ত বর্ণনা পেয়ে যাবেন এখানে। বিভূঁইয়ের খাবারে থাকে বিদেশি অথচ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় খাবারের আর্টিকেল। হেঁশেলে রেসিপি, অদ্ভুতুড়েতে কিম্ভুতকিমাকার যত খাবার, মিষ্টিমুখের মিষ্টি ফিরিস্তি আর ব্লগ তো আছেই। দেখতে পারেন সেলুলয়েডে খাবার-দাবারে পছন্দের সব সিনেমার গল্প। ঘুরেফিরে বেড়ানো যাদের নেশা ‘ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’ সেকশনটা মুগ্ধ করবে তাদেরকে। আছে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার, দেহতত্ত্বের নানান দিক, পাশাপাশি ভেগানিজমের অনুসারীরাও দিক নির্দেশনা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও রয়েছে অরো অনেক কিছু।
‘দ্য ডাইনিভার্স’ এর ডিজিটাল এই প্ল্যাটফর্মে দিনে দিনে যুক্ত হচ্ছেন অনলাইন ও অফলাইনের নানা রকম ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যাবসায়ীগণ। বিজ্ঞাপনের জন্য নির্ধারিত জায়গাগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে তাদের ব্যবসারও যেমন প্রসার ঘটছে তেমনি একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠিও যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন দিগন্তের সাথে। আগস্টে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের সাথে ইতিমধ্যেই সংযুক্ত হওয়া উদ্যোক্তাগণ আমাদেরকে উৎসাহিত করেছেন, আনন্দে উদ্বেলিত করেছেন এবং সঠিক সময়ে পাশে থাকার মাধ্যমে করেছেন অনুপ্রাণিত। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
‘দ্য ডাইনিভার্স’ এর সম্পাদক হিসেবে এত কম সময়ে এতদূর আসতে পেরে, এত মানুষে ভালোবাসা ও আশির্বাদপুষ্ট হয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। আমাদের অভিভাবক জনাব এ. এম. ইয়েমনের অনুপ্রেরণায় ও সঠিক দিক নির্দেশনায় আমাদের অর্জনের ঝুলি হয়েছে সমৃদ্ধ। এছাড়াও, আমার টিমের প্রতিটি সদস্য আমাকে তাদের সবটুকু ঢেলে দিয়ে, তাদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করে ‘দ্য ডাইনিভার্স’ এর পূর্ণাঙ্গতা আনতে যে অবদান তারা রেখেছে তার কৃতজ্ঞতা কোন ভাষা দিয়ে প্রকাশযোগ্য নয়। তাদেরকে ধন্যবাদ।
হাঁটিহাঁটি পা পা করে ডাইনবিডি আজ বর্ষপূর্তিতে। পথচলার কেবল তো শুরু। উৎসাহ, উদ্দিপনা ও আনন্দে মিলেমিশে এক হয়ে পেরোতে হবে অনেকটা পথ। সকল বাঁধা-বিপর্যয় ডিঙিয়ে নতুন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত করতে করতে, কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে নবজীবনের জয়গান একসাথে গাইতে গাইতে দ্য ডাইনিভার্স ও ডাইনবিডি পার করুক একশ বছর। শুভ কামনা!