বাঙালি রসনাবিলাসে মোগল খাবারের আলাদা কদর রয়েছে। এ খাবারগুলোরও নবাবীয়ানা ভাবটা শতাব্দির পর শতাব্দি জুড়ে টিকে রয়েছে। স্বাদ, গন্ধ ও দর্শনে অতুলনীয় শাহী এসব খাবারের ওপর দূর্বলতা মানুষের সব সময়। আর তাই তো সঠিক স্বাদ ও মান এর মোগল খাবারের জনপ্রিয়তা চির অটুট। কাবাব, কাচ্চি, বিরিয়ানি, মোরগ মোসাল্লাম, মোগলাই পরোটা, লাচ্ছি, ফালুদা ইত্যাদি খাবারের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। কিন্ত সমস্যা হলো দুর্মূল্যের এই বাজারে সঠিক দামে সঠিক স্বাদ নিশ্চিত করতে সাধ্যের বাইরে যেন যেতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেকে খাবারের মানে সমঝতা করে ফেলেন। ফলে ভোক্তা পান না নিখুঁত স্বাদ। এখানেই ‘কোরেশী কাবাব’ এর কেরামতি। মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে অবস্থিত সুসজ্জিত ও আধুনিকতায় মোড়া ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের কাবাব ও কাচ্চির প্রাপ্তিস্থান এই কোরেশী কাবাব।
ব্যবসায়ের ইঁদুর দৌড়ে সবাই যখন লাভের পেছনে ছুটছেন, কমিয়ে দিয়েছেন খাবারের মান, খরচ বাঁচাতে বাদ দিয়েছেন দু’চারটে প্রয়োজনীয় উপাদান সেখানে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে আধুনিক পরিবেশে কোরেশী কাবাব প্রতিদিন পূরণ করছে বিপুল সংখ্যক ভোক্তার রসনাবিলাসের চাহিদা। ঝলমলে পরিবেশে পরিবারের সাথে দারূণ সময় কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। বেশ কয়েক ধরনের কাবাবের দেখা মেলে এখানে। তাই ভোজনটাও হয় মনে রাখার মত। আরেকটি ব্যাপার যেটি না বললেই নয় তা হলো এদের কাচ্চি। মুখে লেগে থাকার মত স্বাদ নিশ্চিত করেই ভোক্তার টেবিলে পৌঁছে দেয়া হয় অতি আন্তরিকতার সাথে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, বিস্তৃত বসার জায়গা, রিজার্ভেশন সিস্টেম, পার্কিং সুবিধা, রোডভিউ টেবিল, লাইভ কিচেন, ঝলমলে আলোকসজ্জা কি নেই এখানে! নিবেদিতপ্রাণ কিছু কর্মী সদা ব্যাতিব্যস্ত আপনার চাহিদা পূরণে। ছোটখাটো পারিবারিক আয়োজন, এঙ্গেজমেন্ট, ফ্যামিলি ডিনার, কাপল ডিনার এর সুব্যবস্থা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকম মোগলাই খাবার ছাড়াও সম্প্রতি যোগ হওয়া বারবিকিউ একে অন্য মাত্রা দান করেছে। পরিবারের সদস্যদের সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি শতবর্ষী পুরোন খাবারের স্বাদে হারিয়ে যেতে পারেন নবাবীয়ানায়।
অন্যান্য রেস্টুরেন্টের থেকে কোরেশী কাবাব আলাদা অবদানে রয়েছে এর সুস্বাদু খাদ্যের সুনামের কারণে। খাবারের স্বাদ নিশ্চিত করতে সব থেকে উপযোগী প্রক্রিয়াটিই বেছে নেওয়া হয়। আপোষ করা হয় না তাপমাত্রার ন্যূনতম ওঠানামাতেও। তাই সঠিক মোগলাই খাবারের স্বাদ নিশ্চিত করতে তাদের রয়েছে সাব-কন্টিনেন্টাল কুইজিনে পারদর্শী ইন্ডিয়ান শেফ। এই শেফদের হাতযশের সুনাম ভোক্তাদের মুখে মুখে।
বিভিন্ন উপলক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে সেজে ওঠে কোরেশী কাবাব। রমজানে ইফতার, ঈদের আয়োজন, বড়দিনের সন্ধ্যা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। চট জলদি সেরে নেয়ার মত কোন মিটিং বা কর্পোরেট ডিলিং-এ যখন মুখে থাকবে অমৃতের স্বাদ তখন কাজগুলো বেশ সহজই হয়ে যায়। এছাড়াও জন্মদিনের উৎসব, বন্ধুদের ট্রিট অথবা তারুন্যের উচ্ছাস প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে কোরেশী কাবাব।
সুচারুরূপে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা হয় এখানে। টাটকা ও সতেজ উপাদান ব্যবহার করা হয়। বর্জ্র্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যাবস্থাটিও তদারকি করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। খাবারের কাঁচামাল সংরক্ষণ করা হয় অত্যন্ত সাবধানতার সাথে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিছন্নতা কঠোভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। মেনে চলা হয় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা।
শুধু ডাইন ইন-ই নয় এখানে রয়েছে ডেলিভারি সিস্টেম, টেক অ্যাওয়ে বা প্রি-বুকিং। বাংলাদেশের ফুড ডেলিভারির সবগুলো মাধ্যমের সাথেই যুক্ত থাকায় পাবেন অনলাইন অর্ডারেরও সুযোগ। ক্যাশ, কার্ড, ই-ওয়ালেট যেকোন মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ তো রয়েছেই। নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে উপভোগ করুন কোরেশী কাবাবের মোগলিয়ানা।