‘বিয়েবাড়ি’ কথাটা শুনলেই চোখের সামনে ঝা চকচকে উৎসবমূখর পরিবেশ ভেসে ওঠে আর কানে বাজতে থাকে উপমহাদেশীয় বিখ্যাত সানাইয়ের সুর। অনেকদিন পরে একত্রিত হওয়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের মানুষদের সাথে পুনঃর্মিলনের এর থেকে বড় সুযোগ বাঙালির উৎসবে আর নেই। আর এসব আবেগঘন মুহূর্তের খন্ড খন্ড চিত্র ছাপিয়ে যে জিনিসটি ওপরে উঠে এসে নাকে সুরসুরি দেয় সে হল বিয়েবাড়ির অসাধারণ সব খাবার। সব ধরনের খুনসুটি, আনন্দ, আবেগ সবকিছুর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে এই খাবার। কিš‘, পরিবারের ভেতরে বিয়ে তো আর ঘনঘন হয় না। ভোজনরসিক বিয়েবাড়ির খাবার-পাগল মানুষেরা তাই এক রকম উন্মুখ হয়েই থাকেন কোন এক বিয়েবাড়ির দাওয়াত পাওয়ার জন্য। এখন আপনিও যদি সেই খাবার পছন্দ করা মানুষের কাতারে পড়ের তবে কেমস হবে যদি শোনেন বিয়েবাড়ির সকল আবহাওয়া অক্ষুন্ন রেখে কোথাও পরিবেশন করা হ”েছ বিয়েবাড়ির সুস্বাদু ও মুখে জল আনা সকল প্রকার ডিশ! না, গুজব নয়। বিয়ে হোক বা না হোক সম্পূর্ণ বিয়েবাড়ির পরিবেশে বসেই বিয়েবাড়ির সকল রকম খাবার চেখে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে খোদ ‘বিয়েবাড়ি’ নামক রেস্টুরেন্টটি।
ধাননমন্ডি সংকরের কাছে সাতমসজিদ মেইন রোড়ের ওপর নাভানা জি. এইচ. হাইটস্ বাড়ি নম্বর ৬৭ এর অষ্টম তলায় অব¯ি’ত এই রেস্টুরেন্টটি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে তাদের সেবা প্রদান করে যা”েছ। গতানুগতিক রেস্টুরেন্ট ধারনার বাইরে বেরিয়ে এটা এক অভিনব উদ্যোগ। রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই আপনার মনে হবে আপনি কোন রেস্টুরেন্টে না বরং কোন বিয়েবাড়ির দাওয়াতে ঢুকলেন। সুপ্রশ¯’ জায়গায় সুবিন্যস্তভাবে সাজানো দারুন ইন্টেরিওরটি নিমেষে আপনার মনকে ভালো করে দিতে সক্ষম। বিয়ের স্টেজ, খাবার টেবিল, ডেকোরেশন, আপ্যায়ন সবকিছুতেই বনেদীয়ানার ছাপ। রসনা বিলাসে আপনি একা বা গোটা দলসহই আসুন না কেন আপ্যায়নে অভিযোগের কোন সুযোগ নেই।
একটা বিয়েবাড়ির মেনুতে যা যা থাকে তার সবগুলো খাবারই সাশ্রয়ী দামে পেয়ে যাবেন। কি নেই এখানে! বিয়েবাড়ি স্পেশাল কা”িচ বিরিয়ানি, বিফ তেহারি, মোরগ পোলাও, সাদা পোলাও, সবজি পোলাও ইত্যাদি পেয়ে যাবেন বিরিয়ানি ও পোলাও সেগমেন্টে। এছাড়া. মাটন লেগ রোস্ট, মাটন রেজালা, বিফ রেজাল, বিফ ঝাল ফ্রাই, আচারি বিফ, বিফ কালাভুনা, চিকেন রোস্ট, চিকেন ঝাল ফ্রাই এগুলো তো রয়েছেই। মাছের ভেতর পেয়ে যাবেন রূপচাঁদা, ইলিশ, রুই ফ্রাই এবং চিংড়ির মালাইকারি। প্যাকেজ বা কম্বো সিস্টেমে একজন, দুইজন ও চারজনের তিনটি আলাদা প্যাকেজ রয়েছে, যার ভেতরে গোটা বিয়েবাড়ি স্পেশাল ডিশগুলো আপনি একসঙ্গে পেয়ে যাবেন।
বিয়েবাড়ির খাবারের কথা বলা হ”েছ অথচ লা”িছ, লাবাং বা বোরহানির কথা বাদ যাবে তা কিরে করে হয়! এসব ছাড়াও সফ্ট ডিংকস, জলজিরা এবং বিভিন্ন রকম কফি পেয়ে যাবেন। এত ভারী ভোজের পরে জিহ্বা নিশ্চয় চাইবে শেষপাতে মিষ্টান্ন। আছে জর্দা, শাহীজর্দা, বিয়েবাড়ি ফিরনী ও গোলাপজাম। এখানেই শেষ নয়, বিয়েবাড়ির খাওয়া হলো অথচ মুখে পান থাকবে না সে বড় বেমানান। সাদা পান থেকে স্পেশাল কয়েক রকম পান পেয়ে যাবেন এই রেস্টুরেন্টে।
সব ধরনের পেমেন্ট, ডাইন-ইন, ডেলিভারি বা ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি সুবিধা অফার করছে তারা। এছাড়া পার্কিং সুবিধা, পার্টি হল, এসি রুম, প্রি-বুকিং সুবিধাও রয়েছে। তাদের নিজেস্ব হোমডেলিভারী সার্ভিসও রয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সবার টার্গেট থাকে কম খরচে সবথেকে ভালো জায়গা বেছে নেওয়া। সেক্ষেত্রে বিয়েবাড়ি অন্যতম পছন্দ হতেই পারে।
বাঙালির ঐতিহ্য ও পরম্পরায় বিয়ের অনুষ্ঠান উদ্যাপনের সংস্কৃতি এই জনপদের মতই প্রাচীন। সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে আধুনিকতার মিশেলে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখে বিয়েবাড়ি সুনামের সাথে কাজ করে যা”েছ। তো তাদের সাথে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলাই যায়, ‘যদি বিয়ে না খান অনেকদিন তবে দলে দলে যোগ দিন।’