নকল খাবার এবং আসল খাবারের মধ্যে পার্থক্য বের করা খুব একটা সহজ নয় কারণ এতটাই নিখুতভাবে এই নকল দ্রব্যগুলো প্রস্তুত করা হয়। নকল খাবারে শুধুমাত্র সস্তা উপাদান ব্যবহার করথয় এমনটি নয়, খাবারে ভুল লেবেল দিয়ে, ক্ষতিকারক খাবার বিক্রি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। অনেক সময় তারা নিজেদের পণ্য বিক্রির জন্য নামকরা কোম্পানির নকল লেবেল তৈরি করে। এসব খাবারে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণে খাদ্যের বাজার সংকটে পড়েছে। কিছু অসদ ব্যবসায়ী এই কঠিন সময়ের সুযোগ নিচ্ছে। এফডিএ জানিয়েছে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী খাদ্য শিল্পের অন্তত ১% খাদ্য জালিয়াতি দ্বারা প্রভাবিত হয় যার খরচ ৳৪০ বিলিয়ন।
মিসলেবেলিং এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে ধারণার সৃষ্টি হয় যে তারা একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ডের পণ্যের চেয়ে কম দামে একই পণ্য কিনতে পারছেন যা সমান স্বাস্থ্যকর। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, কম দামে একই পণ্য খুঁজে পেলে তখন কেন অযথা অর্থ অপচয় করবেন? কিন্তু এই পণ্যগুলি ব্যবহারের পরিণতি বুঝতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে, বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে তারা বিভিন্ন উপায়ে প্রতারিত হচ্ছেন। সবার অবশ্যই পণ্য কেনার সময় সতর্ক থাকা উচিত যে তারা পণ্যটি কোথা থেকে কিনছে। কখনও কখনও আমরা আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। তবে অন্তত আমরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারি এবং কেনার আগে ভালো করে যাচাই বাছাই করে কেনার অভ্যাস করতে পারি।
মধু, অলিভ অয়েল, গ্রাউন্ড কফি ইত্যাদি হল সবচেয়ে সহজলভ্য নকল খাবার এবং মানুষ এসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে অহরহ প্রতারিত হচ্ছে।
এই ধরনের অন্যায় প্রতিরোধের উপায় হচ্ছে শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর খাবার কেনার জন্য সাধারণ মানুষকে উতসাহিত করা। লাইসেন্স শুধুমাত্র সেসব কোম্পানিকে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যারা মান বজায় রেখে খাদ্য উতপাদন করছে। কোম্পানিগুলি কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য সংযুক্ত করতে পারে যা সহজে কপি করা যায় না। এবং পণ্যতে অবশ্যই খাবারের স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং সংস্থাগুলি থেকে অনুমোদনের সিল থাকতে হবে।