‘দ্য ডাইনিভার্স’ এমন একটি ফুড ম্যাগাজিন যেখানে অনেকেই তাদের খাবার সম্বন্ধীয় অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন। এখানের সব আর্টিকেল পড়ে আমার নিজেরও খুব ইচ্ছা হলো কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। একজন বাঙালি হিসেবে আমি জানি যে, আমরা বরাবরই ভালো, সুস্বাদু, ঝাল আর মশলাদার খাবার খেতে পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে নতুন রূপে নতুন সাজের খাবার পেলে তো কথাই নেই। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা একটি খাবারকে নিজের মতো করে রান্না করতে পছন্দ করেন। শুধু তাই নয় খাবার নিয়ে করা এই এক্সপেরিমেন্ট অন্যদেরকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। আমিও তেমন রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন ধরনের খাবার তৈরী করে অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকে আমি একটি খাবার ব্যাবসা শুরু করি যেখানে হোমমেড খাবার পাওয়া যায়। যদিও আমি শিক্ষার্থী তবুও এই কাজটি আমি করতে পারি সকলের অনুপ্রেরণা থেকে।
খাবার রান্না করার ক্ষেত্রে আমি সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। ‘মুরগির তুর্কী’ আর ‘ঝনঝটা বার্গার’ নামে আমার তৈরী দুটি খাবার আছে। আমি যখন প্রথম এটা করার কথা ভাবি তখন আমিও জানতাম না যে এটা এতো ভালো হবে আর সকলে এত পছন্দ করবে। বার্গার বলতে মানুষ সাধারণত পাউরুটি বা বান এর মাঝে কিছু সবজি, মাংস আর সস বোঝে। কিন্তু আমার তৈরি করা বার্গারে আমি পাউরুটি ব্যবহার করিনি। সাধারণত নুডলস এর মাধ্যমে আমি এই বার্গারটি তৈরী করি। সকলে অবাক হয়ে যায় এটা ভেবে যে বার্গার কিভাবে বান ছাড়া হয়। স্বাদের কথা বলতে গেলে বলবো কোনো অংশে এটা সাধারণ বার্গারের থেকে কম নয়। এই বার্গারের উপরে অংশে একটা এক্সট্রা ক্রিস্পিনেস পাওয়া যায়।
আমার দ্বিতীয় খাবারটি হলো মুরগির তুর্কী। যদি মুরগির তুর্কীর কথা বলি তবে বলবো আমার মেনুতে এটা একেবারে প্রথমে রয়েছে। নাম শুনে মনে হতে পারে যে এই খাবারটি টার্কি মুরগি দিয়ে তৈরী কিন্তু তা একেবারেই না। যে কোন মুরগি দিয়েই এটা তৈরী করা যায়। আমি আগেই বলেছি ঝাল মশলাযুক্ত খাবার বাঙালি বরাবরই ভালোবাসে। তাই আমার এই পরীক্ষামূলক খাবারে আমি চেষ্টা করেছি খাবারটি বিদেশি হলেও তা যেন বাঙালি স্বাদের হয়। আরও একটা মজার বিষয় হলো এই খাবারটিতে আমি একটু টক স্বাদের প্রাধান্য দিয়েছি। জিভে জল আসছে তাই না? এই টক ভাবটা মুরগির তুর্কীর স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় অনেক।
আমরা যতই মশলাদার বা ঝাঝালো খাবার খাই না কেন দিন শেষে আমাদের সুস্থ থাকতে হবে। তাই খাবারের ক্ষেত্রে সব সময় ভালো, বিশুদ্ধ ও টাটকা খাবারের প্রতি আমাদের দৃষ্টি থাকা উচিত। আমরা অনেকে ডায়েট করে থাকি। কেই কেই না খেয়ে ডায়েট করার চেষ্টা করেন। আমাদের মনে রাখা উচিত যে খাবার না খাওয়াটা ডায়েট নয় এবং স্বাস্থ্যকর খাবার ডায়েটের জন্য প্রতিবন্ধক নয়। অতিরিক্ত চিকন হবার জন্য অনেকেই এই ভুলগুলো করে থাকেন যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় পাশাপাশি পছন্দের খাবার থেকেও নিজেকে বি ত হতে হয়। এর চেয় বরং সুস্থ থাকা, খাবার থেকে শক্তি পাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে সঠিক কাজ। ডায়েটের আসল অর্থ হলো একটা সুস্থ খাবার তালিকা মেনে পরিমান মতো সকল প্রোটিন, ভিটামিন ও পানি খাওয়া।
আমার তৈরি করা খাবারে আমি সব সময় এই বিষয়গুলো মেনে চলি। কেউ যখন একটা খাবার অর্ডার করেন তখন সেটার পরিমাণ যতটুকুই হোক না কেন তার মান নিশ্চিত করা থাকে আমার প্রথম কাজ। তাই খাবার প্রস্তুতের জন্যও আমাদের সঠিক সময়টা দেওয়া উচিত। কম সময়ের ভেতর তাড়াহুড়া করে অস্বাস্থ্যকর খাবারে যেন আমরা কেউ অভ্যস্ত হয়ে না যায় সে দিকটি খেয়াল রাখা জরুরী। আমরা যেখানেই খাবার খাই না কেন আমাদের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েই সে খাবারটি উপভোগ করা উচিত। তাই ভালো খাবেন, ভালো থাকবেন।