খুব পুষ্টিকর ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি খাবার হলো খেজুর। মিষ্টি এবং সুস্বাদু এই দুইয়ের চমৎকার কম্বিনেশন থাকায় এই খাবার পেয়েছে এমন গ্রহণযোগ্যতা। সাথে রয়েছে এর পুষ্টিগুণ, এতে আছে আয়রণ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার,প্রোটিন ও আরও অনেক কিছু। সব বয়সী সবার জন্য খুব উপযোগী। আর খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায় রমজান মাসে। দিনভর রোজার পরে শরীরে পুষ্টির জন্য খুবই উপাদেয়।
একসময় সৌদি আরবের নিকটবর্তী দেশগুলোর আবহাওয়া, পরিবেশ, মাটির উপরে নির্ভর করে এটা মূলত সেখানকার জনপ্রিয় ফল ছিল। কিন্তু এখন ইরাক, তিউনিশিয়া,আলজেরিয়া,সংযুক্ত আরব আমিরাত,পাকিস্তান ,ইরান এবং আরো অনেক দেশ খেজুর রপ্তানি করে থাকেন।
খেজুর জায়গা ভেদে বিভিন্ন নাম ও ধরনের হয়ে থাকে। এক প্রকারের চেয়ে অন্য প্রকারের খেজুর গুনে,মানে অনন্য।
এখানে একটু ছোট পরিচিতি তুলে ধরা হলো তাদের প্রাপ্যতা ও জনপ্রিয়তার উপর। যেহেতু এটা একটা খুবই পুষ্টিকর খাবার, তাই রোজকার খাদ্য মেন্যুতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১.মেডজুল: মেডজুল খেজুর নরম ও সুস্বাদু মিষ্টি তে পূর্ণ থাকে। বেশ আদ্রতায় মোড়া।
২.মাবরুম: স্বাদে তীক্ষ্ণ মিষ্টতা নেই আর এই সাথে এক অন্যরকম স্বাদের জন্য এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক এবং বেশ জনপ্রিয়।
৩.আম্বার: আম্বার খেজুর মিষ্টি এবং একটা সুন্দর ঘ্রাণের । এর সাথে কিছুটা শুকনো বৈশিষ্ট্যের। এর মাঝের সোনালী রঙের জন্য একে “খেজুরের আলো” নামে ডাকা হয়।
৪.আজোয়া: আজোয়া খেজুর রোপনের ধর্মীয় ইতিহাসের ভিত্তিতে এটি খুবই দামী একটি খেজুর। আকারে মাঝারি ও কালো রঙের এটি।
মহানবী (স) বলেছেন, যদি কেউ সাতটি খেজুর প্রতিদিন সকালে খেয়ে থাকেন, তবে জাদু বা বিষক্রিয়া থেকে সে দূরে থাকবে।
৫.মরিয়ম: খুবই জনপ্রিয় ও সারা বিশ্বের গ্রীষ্মপ্রধান অনেক জায়গায় জন্মে থাকে। সাইজে বড় এবং গাঢ় খয়েরী রঙের। বেশ হালকা মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও উপযোগী।
৬.শুককারী: এই জাতের খেজুর আল কাশেম অঞ্চলে জন্মে থাকে। একে খেজুরের রানী বলা হয়ে থাকে। সোনালী রঙের এবং নরম হয়ে থাকে।
৭.কলমি: সাফারি খেজুরের আর এক নাম কলমি খেজুর। মাঝারি থেকে বড় সাইজের হয়ে থাকে।
৮.পিয়ারম: আকারে বেশ লম্বাটে ও পাতলা হয়ে থাকে। গাঢ় বাদামি রঙের কিছুটা শুকনো ধরণের হয়।
৯.জাহিদী: এই জাতের খেজুর মাঝারী সাইজের আর হালকা বাদামি বর্ণের কিছুটা ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়ার উষ্ণতা খেজুরের চাষাবাদ করার জন্য বেশ উপযোগী। যা বেশ কয়েকবছর আগেই কিছু উদ্যমী চাষী সফলতার সাথে তা করে দেখিয়েছে। আর বর্তমানে সফলভাবে তারা দেশে চাষ করা খেজুর বাজারজাত করছে দেশীয় মার্কেটে।