সারাদিনের প্রধান খাবার মানেই দুপুরের খাবার। আর খাবার থেকেই আসে পুরো কাজের এনার্জি। তাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ খুব জরুরী। আর এই দুপুরের মেনুতেই যদি থাকে ভরপেট ভুঁড়িভোজ তবে এটা লক্ষ্য রাখা জরুরি যে যতটুকু খাবার গ্রহণ হয়েছে তার পুরোটা শরীর খরচ করতে পেরেছে।
দুপুরের ভরপেট খাবার বাকি দিনটা ফুরফুরে ও চমৎকার ভাবে কাটাতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। সুস্বাস্থ্যের জন্যে একটা স্বাস্থ্যকর খাবারের নিয়ম খুব জরুরী সারাদিনের জন্যে। যাতে সকালে ও দুপুরে খুব ভরপেট খাবার অভ্যাস থাকলেও রাতের খাবার হয় একেবারে হালকা। খাবারে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, চিনি, চর্বি, তেল দিয়ে তৈরি মুখরোচক খাবার গুলোকে পরিহার করতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস থেকেই কোলেস্ট্রেরোল, ডায়াবেটিক, মোটা হয়ে যাওয়া, হার্টের সমস্যা, প্রেশার, কিডনি সমস্যা ও আরও অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
একজন মানুষের চলাফেরা, কাজ করা বা শরীরচর্চার উপর খাবার পরিমাণ টা নির্ভর করা উচিত। আর এটাই একটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। রাতে শরীরে কাজ বা মেটাবোলিজম একেবারেই কমে যায় তাই ভরপেট খাবারের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরী। একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখাটা খুব জরুরী।
দেখা যায় দুপুরের ভরপেট খাবার রাতের বেশি খাবার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। আর অতিরিক্ত এই ক্যালোরিগুলো দুপুরের খাবারের পরে সারাদিন ধরে পোড়ানোর একটা সময় ও সুযোগ থাকে । একটু বেশি প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মেনু থাকা প্রয়োজন। আর কোন সময় কতটুকু খাবার খাচ্ছি সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। একটা কথার প্রচলন আছে, “রাজার মত খাও সকালে, রাজকুমারের মত দুপুরে আর দরিদ্রের মত রাতে।“
সাদা ভাত বা রুটি, মাছ অথবা মাংস, ডিম, দুধ, সবজি, ডাল চমৎকার মেনু। একটু বেশি বিরিয়ানি, মুখরোচক খাবার দুপুরে খেতে বললেও খেতে হবে নিজের পেট বুঝে। নইলে অস্বস্তি, বুক জ্বালাপোড়া, এসিডিটি, ঘুমের সমস্যা সর্বোপরি পরিপাক কাজে বাঁধা দেয়।
নানান রঙিন ফল যেমন, তরমুজ, পেয়ারা, আপেল,কমলা, স্ট্রবেরি ওজন কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া বেগুন, মটরশুঁটি, গাজর, শসা, করলা, লাউ, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক সহ আর নানান শাক খাদ্য তালিকায় থাকলে ওজন কমবে দ্রুত।
মুখরোচক দুপুরের খাবার তখনই গ্রহণযোগ্য যখন খাবারের সময় ঠিক থাকে। আর এইসব টা মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনার জীবনে আনন্দের কারণ হবে।