জাপানিজ সুশি ও উদোন

by | জানু. 8, 2023 | Blog

Traditional Khichuri hobe

Sushi, a Japanese delicacy

সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হওয়ায়, খাদ্য প্রিয় মানুষের মাঝে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে জাপানিজ ফুড। জাপানিজ ফুড তাদের ভিন্নতা ও আকর্ষণীয় পরিবেশনার জন্য সারা বিশ্বে বিশেষভাবে সাড়া পাচ্ছে। সাম্প্রতিক কিছু বছরে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের মানুষের মাঝেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এসব খাবার। ” সুশি” সেসব খাবারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সুস্বাদু এসকল খাবার সম্পর্কিত সাধারণ অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। আজ সুশি নিয়ে কিছু সাধারণ তথ্য জেনে নিতে পারি, সাথে আরেকটি জাপানিজ খাবার “উদন” সম্পর্কেও জেনে নেয়া যাক। উদন চমৎকার একটি জাপানিজ ডিশ যা এখনো পর্যন্ত সুশির মত জনপ্রিয়তা পায় নি।

সুশি

জাপানিজ খাবারের মধ্যে সুশি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। বিশ্বের অনেক দেশেই সুশির জনপ্রিয়তা ব্যাপক। এটি জাপানের ঐতিহ্যবাহী একধরনের ডিশ যা তৈরি করা হয় ভিনেগার মেশানো এক রকম রাইস দিয়ে, সাথে যোগ করা হয় বিভিন্ন ধরনের উপাদান, যেমনঃ সামুদ্রিক খাবার, কাচা শাকসবজি।

খাবারটা খাওয়া হয় সয়াসস বা ওয়াসাবিতে চুবিয়ে। জাপানিজরা মূলত সব ধরনের খাবার চপস্টিক দিয়ে খেতে অভ্যস্ত। সুশি খেতেও তারা চপস্টিক ব্যবহার করে। তবে হাতে নিয়েও সয়াসস বা ওয়াসাবিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। 

সুশিকে অনেকে সাশিমী মনে করে ভুল করতে পারেন। সাশিমী সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি জাপানিজ ডিশ। আকার ও উপাদানের উপর ভিত্তি করে সুশি, নিগিরি সুশি, মাকি সুশি, অশী সুশি নামেও পরিচিত।

উদোন

উদন এক ধরনের নুডলস যার ফাইবার তুলনামূলক মোটা। এটি জাপানের প্রধান ৩ টি নুডলসের মধ্যে একটি। দেশীয় ঐতিহ্য বজায় রেখে গমের আটা ও সামুদ্রিক পানি ব্যবহার করে এই নুডলস বানানো হয়। উদন বেশিরভাগ সময়ই নুডলস স্যুপ হিসেবে খাওয়া হয়। সুস্বাদু এই স্যুপটি তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে। এদের নিরপেক্ষ ঘ্রাণ ও স্বাদের কারণে, এরা দৃঢ় ঘ্রাণ ও স্বাদযুক্ত উপাদান সহজেই শোষণ করে নেয়। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদানের মিশ্রনে তৈরি করা হয় এই নুডলস স্যুপ।

এর ফাইবারে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। উদনে থাকা ভিটামিন বি আমাদের কর্মক্ষম রাখে। এছাড়াও ফাইবারের এসব উপাদান কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশে এসব খাবারের প্রচলন ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। রাজধানীর অনেক রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় এসব খাবারের দেখা। খাদ্যপ্রেমিরা প্রতিনিয়ত খোঁজ করে চলেছে নানান দেশের নানান স্বাদের সব খাবার। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অথেনটিক জাপানিজ কুইজিনের জন্য গুলশান ২ এর জনপ্রিয় একটি রেস্তোরা “উমাই”৷ সুশি, সাশিমীর মত আরো বেশ কিছু ডিশ নিয়ে, “উমাই” রেস্তোরাটি নিজেদের সাজিয়েছে কিছুটা জাপানিজ ধাঁচে।

একইভাবে, ঢাকার মধ্যে খুব সাধারণ জাপানিজ স্ন্যাকস বা অন্যান্য খাবার তুলনামূলক সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে এমন কোনো রেস্তোরা খুঁজতে গেলে, প্রথমেই “ইজাকায়া”র কথা মনে পরবে। জাপানিজ খাবার এর বৈচিত্র্যতা তুলে ধরতে এবং একই সাথে এ জাতীয় খাবার এদেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে সফল হয়েছে “ইজাকায়া”। 

Related Post
ফিফার জ্বর

ফিফার জ্বর

‘ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, এটি একটি আবেগ’- কথাটি প্রতিটি বিশ্বকাপেই সত্যি হয়। ‘ফুটবল’...

Subscribe To Our Newsletter

Subscribe To Our Newsletter

Join our mailing list to receive the latest news and updates from our team.

You have Successfully Subscribed!