বাংলাদেশ অসম্ভব সুন্দর একটি দেশ। অতীতে আমি অনেকবার বাংলাদেশে এসেছি কিন্তু কোনো বিশেষ উপলক্ষে এটি ছিল আমার দ্বিতীয় ঢাকা সফর। এই সফরে আমি সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তরের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। এই লেখায় আমি আমার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ভ্রমণ কিভাবে হয়েছে এবং ঢাকায় থাকাকালীন আমি যে খাবারের অভিজ্ঞতা পেয়েছি তা পাঠকদের সাথে শেয়ার করব।
একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী হিসেবে, আমার রুটিন ডায়েট হল পশ্চিমা খাবার, যেমন বার্গার, স্যান্ডউইচ, সুশি, পিৎজা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পশ্চিমা খাবার, কিন্তু বাংলাদেশী খাবার উপভোগ করা হয়নি তেমনভাবে। তাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি বিভিন্ন ধরনের খাবার উপভোগ করার প্রতিক্ষায়।
এই ভ্রমণে, আমি স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলি খাওয়ার জন্য খুব আগ্রহী ছিলাম এবং অবশেষে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের অভিজ্ঞতা ছিলো অসাধারণ। ঢাকায় আসার আগে আমি যতটা সম্ভব বিভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার চেষ্টা করব বলে আশা করেছি। বিশেষ করে, আমি বিভিন্ন ধরণের ভর্তা, মাছ এবং শাকসবজির পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি তরকারি যা বাংলাদেশে তাজা পাওয়া যায়, সেগুলি খেয়ে দেখার আশায় ছিলাম।
ঢাকায় আমার খাবারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক পাঁচ তারকা হোটেল থেকে কিন্তু সেখানে আমি স্থানীয় খাবারের স্বাদের ছোঁয়া পাইনি। তাই, আমি পুরান ঢাকা ঘোরার সিদ্ধান্ত নেই, যেখানে আমি ঐতিহ্যবাহী ভর্তা, কাচ্চি বিরিয়ানি, হাজি এবং নান্না বিরিয়ানি এবং আরও কয়েকটি ভিন্ন ধরণের ঐতিহ্যবাহী বিরিয়ানি চেষ্টা করার সুযোগ পেয়েছি।
অনেক বিরিয়ানির পাশাপাশি, আমি সবচেয়ে বিখ্যাত লাচ্চি এবং বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট যেমন ফিরনি, ফালুদা, মিষ্টি, দই (মিষ্টি দই) এবং আরও অনেক কিছু উপভোগ করেছি।
উপরের সমস্ত কিছুর মধ্যে, আমি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফুচকা, আগুন পান-সুপারি উপভোগ করেছি যা আমার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। তাছাড়া আমি অফুরন্ত চা এবং আরেকটি বিখ্যাত খাবার চেষ্টা করেছি যা নিহারি নামে পরিচিত। আমি বিভিন্ন ধরনের বিখ্যাত তরকারি চেষ্টা করেছি। কিন্তু একটা জিনিস যেটা আমার নজর কেড়েছে সেটা হল ফুচকা যা আমি আজও ভুলতে পারিনি। দই ফুচকা অনেক সুস্বাদু ছিল। বিশেষ করে তাজা মশলা এবং সুস্বাদু উপাদান দিয়ে রান্না করা স্থানীয় খাবার খাওয়ার সুযোগ পেয়েছি যা আমি বেশ তৃপ্তির সাথে উপভোগ করেছি।
আমি জানলাম আধুনিক প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশে খাবার অর্ডার করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ঘরে বসে খাবার অর্ডার করার জন্য বিভিন্ন ধরণের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এবং আমি ঘরে বসে অনেক ধরনের সুস্বাদু খাবার উপভোগ করার জন্য এই সুবিধাগুলি ব্যবহার করেছি।
সামগ্রিকভাবে, আমার অভিজ্ঞতা সত্যিই ভাল ছিল। আমি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার উপভোগ করেছি এবং সবচেয়ে বড় কথা আমি একটি সুন্দর স্মৃতি নিয়ে লন্ডন ফিরে যাব।
আমি আরও অনেক বিখ্যাত খাবার চেষ্টা করার জন্য অদূর ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি।
