আমরা কি জানি মাথা ব্যাথা কেন হয়? আপনারা হয়তো ভাবছেন, ব্রেইন এ কোনো সমস্যা হলেই শুধু মাথা ব্যাথা হয়? যদি তাই ভেবে থাকেন, আপনারা ভুলের জগতে বাস করছেন।
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ যে কোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গে কোনো ক্ষত হলে তার বহিঃপ্রকাশ হল মাথা ব্যাথার উপলব্ধি। মাথা ব্যাথা একজন মানুষের পুরো মাথা, ঘাড় এবং মুখো মন্ডল জুড়ে অনুভব হতে পরে এবং যা সংঘটিত হয় রক্তনালী, স্নায়ু এবং মাংসপেশীতে।
এটি হলফ করে বলা যায় প্রায় প্রতিটি মানুষ তাদের জীবদ্দশায় অগনিত মাথা ব্যাথা ভোগ করছে। এটা কখনো কয়েক মিনিট এর জন্য হয়, কখনো আবার কয়েক ঘন্টাও থেকে যায়। অনেক মাথা ব্যাথায় অস্থির অনুভূত হয়, কোনটা হয় নিয়মিত অথবা কোনদিন প্রখর ব্যাথা নয়তো মৃদু।
প্রায় ১৫০ ধরনের মাথা ব্যাথা আছে এবং প্রতিটি ধরনের লক্ষণও আলাদা আলাদা।
সচারাচর সবারই দুশ্চিন্তায় মাথাব্যথা হয়ে থাকে,যার কারন হিসেবে কাজের চাপ, বিষন্নতা আর উদ্বেগ বলা যেতে পারে।
অনেকেই প্রায়শই মাথাব্যথায় ভুগছেন। চলুন কিছু খাদ্যের কথা জেনে নেই, যা মাথাব্যথার ঔষধ এবং এটি আশা করা যায় ঔষধের দুনিয়ায় যাওয়ার আগে এই খাবার গুলো আপনাকে কিছুটা হলেও উপশম দেবে!
১) আদা এক এক প্রকার মসলা, এর শেকড় খেলে শরীরের প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন বন্ধ করে দেয় (যা ব্যাথার জন্য দায়ী)। আদা গুড়ো, আদা কুচি, আদা চা খেলে অবশ্যই আরাম পাবেন।
২)ম্যাকরল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এ ভরপুর, এটি এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ। আমরা জানি ওমেগা-৩ ব্যাথানাশক এবং স্নায়ু রক্ষক হিসেবে কাজ করে, যার ফলে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সময়কাল ও প্রখরতা কমাতে সাহায্য করে। স্যামন, কড, হ্যালিবুট ইত্যাদি মাছও এর মতো কাজ করে।
৩)টকদই এ আছে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি এর অংশবিশেষ। ভিটামিন বি মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর হাতিয়ার যার বিকল্প হিসেবে ডিম খাওয়া যেতে পারে।
৪)সবুজ শাকসবজি ম্যাগনেশিয়াম এ ভরপূর। ম্যাগনেশিয়াম একটা খনিজ; যা সবসময়ই মাইগ্রেন কমাতে পারে। পাতা কপি ব্রকলি, সবুজ শালগম ও আছে এদের মধ্যে।
৫) তরমুজ – বেশীরভাগ মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা হলে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হয় এবং অন্যতম কারনও এটি। পানিশূন্যতা রক্তের মাত্রা কমিয়ে দেয়,যার জন্য ব্রেইন পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না আর ম্যাথা ব্যাথা শুরু হয়। তাই পানি জাতীয় ফল তরমুজ, শশা,গাজর শরীরকে জলযোযিত করে এবং মাথাব্যথা অনেকটা কমে যায়।
৬) বাদাম, যা ম্যাগনেশিয়াম এর উৎস। কাজুবাদাম, আখরোট, হিজলি বাদাম, ব্রাজিল নাট খেলে মাথা ব্যাথা কমে।
৭) ডার্ক চকলেট ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লাভিন ধারন করে প্রচুর, তাই মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
৮) সবথেকে কার্যকর পানীয় হলো কফি, চা যেগুলোতে ক্যাফেইন আছে।
৯) প্রচুর পানি পান করলে মাথা ব্যাথা কমে।
১০) কলা মাথা ব্যাথা কমায়। কারন এতে আছে ম্যাগনেশিাম, আয়রন সহ বিভিন্ন খনিজ।
এই সকল খাবার আমাদের খুব তাড়াতাড়ি মাথা ব্যথা থেকে রেহাই না দিলেও তা কিছুটা উপশম হতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। তাই এইগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি কিন্তু!